- আমিনুল হক
ঢাকা : বাংলাদেশে পালিত হয়েছে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিবসটিকে
সামনে রেখে কোভিডের মধ্যে দেশব্যাপী ও আন্তর্জাতিক নানা আয়োজন পালন করা হচ্ছে।
কোভিডের কারণে বরাবরের মত শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাতে জানাতে যাননি রাষ্ট্রপতি ও
প্রধানমন্ত্রী। একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব
মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার
সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকীব আহমেদ চৌধুরী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ
করেন। এ সময় অমর একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে
ফেব্রুয়ারি’ বাজানো হয়। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিদেশি কূটনৈতিকগণ এবং সর্বস্তরের মানুষ
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহিদ বেধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বাংলাদেশে ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে প্রতিবছর পালন করা হচ্ছে
স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতার পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আজকের বাংলাদেশের মানুষ প্রথম মাথা উঁচু
করে দাঁড়িয়ে ছিল ভাষার প্রশ্নে। রাষ্ট্রভাষা ‘বাংলা’ করার দাবিতে ২১ ফেব্রুয়ারি রক্তাক্ত
হয়েছিল রাজপথে। সেই পাকিস্তানেও দিবস পালন করা হচ্ছে। ইতিহাসের অনন্য নজর হিসেবে
১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। একই বছরের নভেম্বরে ইউনেস্কোর সাধারণ সভায়
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস
থেকে প্রতিবছর ভাষাবিদ্যা, ভাষার বহুত্ব এবং সাংস্কৃতিক বহুমুখিতাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে
‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করা হচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে
আবদুল মোমেন বলেছেন, অর্থের যোগান না থাকায় রাষ্ট্রপুঞ্জে দাফিতরিক ভাষা হিসেবে চালু
করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, বাংলা ভাষায় প্রায় ২৭ কোটি লোক কথা বলে। আমরা চাইছি,
জাতিংঘের ছয়টি ভাষার পাশাপাশি বাংলাকেও দাফতরিক ভাষা হিসেবে চালু করতে।
জাতিসংঘ বলেছে, তাদের প্রথম পাঁচটি ভাষা রয়েছে। পরবর্তীতে আরবি তারা অন্তর্ভুক্ত
করেছে। প্রতি বছর ৬০০ মিলিয়ন ডলার ( প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা) ব্যয় করা সম্ভব হলে
বাংলাভাষা কে রাষ্ট্রপুঞ্জের দাফতরিক ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব। মন্ত্রী জানান, জাপান,
ভারত ও জার্মানি চেয়েছিল তাদের ভাষা ব্যবহার করার জন্য, কিন্তু কেউই টাকা দিতে রাজি
হয়নি। রবিবার শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান
একথা জানান বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন। এর আগে বিদেশি
কূটনীতিকদের সঙ্গে নিয়ে মন্ত্রী ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা
নিবেদন করেন।
Be First to Comment