-
ডিজিপি নম্বরও তাড়াহুড়োয় প্রকাশ করা হয়েছে
-
এই সরকারে কঠোর প্রশ্ন করার সুযোগ আছে
-
যদি কোন তথ্য আছে তো সোজা আমাকে দিন
-
প্রতিটি স্তরে কাজ চলছে তা ব্যাখ্যা করলেন
দীপক নওরঙ্গি
ভাগলপুর: বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও আজ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তীব্র প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে ধৈর্য হারিয়েছেন।
রূপেশ কুমার সিংহ হত্যার পরেও পুলিশ এই ঘটনা সম্পর্কে কোনও অস্তিত্ব না থাকায় জনগণের ক্ষোভ রয়েছে।
সুশাসন সরকারের এই ইনিংসে সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বড় অপরাধমূলক ঘটনা পুরো সরকারকে করেছে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে।
আজ, এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছিলেন।
একসময় নীতীশ কুমার তার ধৈর্য হারালেন। তিনি প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিককে জিজ্ঞাসা করলেন তিনি প্রশ্ন করলেন আপনি কার পক্ষে?
ভিডিওটিতে জেনে নিন এবং নীতীশ কুমার কী বলেছেন তা দেখুন
সাংবাদিকরা আরও অভিযোগ করেছিলেন, বিহারের ডিজিপি ফোন তোলেন না।
এই প্রশ্নের পরে অবিলম্বে বিহার পুলিশ সদর দফতর থেকে ডিজিপির মোবাইল নম্বর সহ তিনটি নম্বর তাড়াহুড়ো করে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল।
যাইহোক, বলে রাখি যে এই প্রতিবেদকের সাথে ফোনে কথা বলেছেন ডিজিপি এসকে সিংহল। কিন্তু তিনি নিজেকে মিডিয়া শিরোনাম থেকে দূরে রাখতে পছন্দ করেন।
যে অনেক অন্যান্য কর্মকর্তাদের মতো মিডিয়ার সাথে অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখেন না।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সাংবাদিকদের প্রশ্ন বাণের সম্মুখীন হয় রুপেশ সিং হত্যা নিয়ে।
এই হত্যার ব্যাপারে এখনও পুলিসের কাছে কোন খবর নেই।
তাই স্বাভাবিক ভাবে আলোচনার গতি বেড়েছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নীতীশ কুমারের কাছ থেকে জনসাধারণের প্রত্যাশা অনেক বেশি।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ নিজে এই পরিবেশ করেছেন
যাই হোক, এটি বলে নেওয়া যাক একই পরিবেশটি সাংবাদিকদের কাছে তীক্ষ্ণ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার পক্ষে মূল্যবান।
এই ধরণের প্রশ্ন করার মতন সুবিধা খোদ নীতীশ কুমার তৈরি করে দিয়েছেন। অন্যথায়, এর আগে আইন শৃঙ্খলা সম্পর্কিত প্রশ্ন করা সম্পর্কে সকলেই জানেন যে সেই রাজনৈতিক পরিবেশটি বিহারে ছিল না।
অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তীব্র প্রশ্নটি নীতীশ কুমারকে জিজ্ঞাসা করাও যুক্তিসঙ্গত।
কারণেই হচ্ছে যে নীতীশ কুমার সরকার সুশাসনের সম্মান অকারণ পান নি। কোন ক্ষেত্রে
নীতীশ কুমার বিহারের ভার নিয়েছিলেন, তিনি সেখান থেকে আজ অবধি আসতে কঠোর
পরিশ্রম করেছিলেন করতে হয়েছিল। এই অবিচ্ছিন্ন পরিশ্রমের কারণেই জনসাধারণ তাকে সুশাসন বাবু নামে নাম দিয়েছিল।
শ্রী কুমার তার পক্ষে সাংবাদিকদের তীব্র প্রশ্নের জবাবও দিয়েছিলেন, যা প্রমাণ করে যে তিনি অন্যান্য নেতাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সাধারণ নেতারা এই ধরনের তীক্ষ্ম প্রশ্ন শুনলেই এড়িয়ে যান। ধৈর্য ধরে নীতিশ কুমার সম্ভবত একমাত্র নেতা যিনি প্রশ্নগুলি শোনেন এবং উত্তর দেন।
তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেছিলেন, তারও যদি কোনও অপরাধ সম্পর্কে খবর থাকে তো তারা তথ্য পেলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি জানাতে পারেন।
সেই অপরাধ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়ার কোনও উপায় নেই।
[…] সদর দফতর থেকে তাঁর কাজ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে | […]